नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।
প্রবীর রায় | ভারত
নাসিক সিভিল হাসপাতালের
বাইরে লাগানো ফলকটি সেইসব স্বয়ংসেবকদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে যারা মানবতার উদাহরণ
হয়ে উঠেছে।
বছর দেড়েকের গীতা ও
৬ মাসের আয়ুষ লোহার মাত্র চার মাস আগে তাদের মাকে হারিয়েছিল, আর লকডাউনে রিকশাচালক বাবার আয়ের উৎসও কেড়ে নেয়। রাঁচির পাহানকোচায় ‘দিন আনে দিন খায়’ এই পরিবারটি দিনে দুবেলা খাবারের জন্যও জায়গায় জায়গায় ভাত-সব্জি আর খিচুড়ি
বিতরণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। বৃদ্ধ ঠাকুরমা জুলিয়া মিনজ ছোট্ট আয়ুষকে দুধের
পরিবর্তে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ভাতের মার চেয়ে এনে তাতে চিনি মিশিয়ে খাওয়াতে বাধ্য
হন। যখন তার অসহায় পরিস্থিতির খবর সঙ্ঘের শিবাজী নগরের নগর কার্যবাহ বিজয় জীর কাছে
পৌঁছায়, তখন শুধু আয়ুষই নয়, তিনি রাঁচির লোহরা কোচা, ভাবনগর, চঢরী, রবিদাস মহল্লা এবং বর্ধমান কম্পাউণ্ডেরর ৩০০ অভাবী শিশুর
কাছে লকডাউনের সময় সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা দুই মাস ধরে দুধ পৌঁছে দেন ।
ঝাড়খণ্ডের রাঁচির অনেক
বস্তিতে একটু দুধের জন্য কাতর দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা ছোট বাচ্চাদের চিহ্নিত করে
লকডাউনের সময় তাদের কাছে নিয়মিত দুধ সরবরাহ করা হয়েছিল।
নাসিকের কোভিড হাসপাতালে
একটি ফলক লাগানো হয়েছে, "করোনা পজিটিভ ব্যক্তির মৃত্যুর পরে, শেষকৃত্যের জন্য পরিবারজন সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকদের সাথে যোগাযোগ
করুন" করোনার সময়কালের অপরিসীম দুর্ভোগ এবং অনন্য সেবা চেতনার উদাহরণ সঙ্ঘের
স্বয়ংসেবকরা। নিজের প্রিয়জনদের চার কাঁধের জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকা কোবিড রুগীর পরিবার
পরিজনেদের হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন নাসিকের সহ-জেলা কার্যবাহ মঙ্গেশভাই এবং তার সহযোগী
স্বয়ংসেবকেরা কখনো তাদের পুত্র, কখনও ভাই এবং কখনও কন্যার রূপে করোনা পজিটিভ রোগীদের মৃতদেহ কাঁধে তুলেছেন। পিপিই
কিট পরে এই মৃতদেহগুলিকে মুখাগ্নির কাজে সোনালী দাবাক, শুভদা দেশাই, দীপালি গদাখের মতো সঙ্ঘ পরিবারের মেয়েরাও যুক্ত ছিলেন।
যখন সমস্যা বড় হয়, তখন তার মোকাবিলাও বড় হয়। হাজার হাজার কিলোমিটার হেঁটে
শ্রমিকেরা যখন তাদের বাড়ির দিকে রওনা দেয়
এমতাবস্থায় প্রশাসনের সহায়তাও যখন কম পড়তে থাকে তখন সেবাভারতীর কার্যকর্তা এবং সঙ্ঘের
স্বয়ংসেবকরা এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজে এগিয়ে আসেন। দেশের ১৭৭৮টি স্থানে ৪৪ লাখেরও
বেশি শ্রমিককে খাবার, জলের বোতল, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয়
জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। সঙ্ঘের অখিলভারতীয় সহ সেবা প্রমুখ রাজকুমার মটালে জী
বলেন- "এই দেশ এবং সমাজ আমাদেরই, এই বোধ নিয়ে, সমস্যা যত বড় হয় স্বয়ংসেবকরা ততটাই দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে
তুলে নেয়।" হাসপাতালে গুরুতর রোগীরা যাতে রক্তের অভাবের সম্মুখীন না হয় তা সুনিশ্চিত
করার জন্য, কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন
৫ই জুন, ২০২০ পর্যন্ত ৬০,২২৯জন স্বয়ংসেবক রক্তদান করেন। কোভিড -১৯ এর চিকিৎসা হয় এরকম হাসপাতাল এবং সেবা বসতি সহ শত শত জায়গায়
স্বয়ংসেবকরা স্বচ্ছতা এবং স্যানিটাইজেশনের কাজও করে।
মেরাঠের আমরোহাতে চলতে
থাকা মেডিকেল হেল্পলাইন হোক বা রাষ্ট্রীয় সেবা ভারতীর ২৪-ঘণ্টা হেল্পলাইন, উৎকর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতিটি সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হয়। সুরাটের একজন কাপড়ের
ফেরিওয়ালা নূর মোহাম্মদ যখন খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত বোধ করতে শুরু করেন, তখন তিনি তার ৩ বছরের শিশু এবং গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে
১৩০৪ কিলোমিটার দূরে আমেঠিতে নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু জলগাঁও হাইওয়েতেই স্ত্রী ইশরাতের প্রসব বেদনা শুরু
হয়। স্বয়ংসেবক রবি কাসার, যিনি তার সহযোগী সাথীদের সাথে কাছাকাছি
রেশন বিতরণ করছিলেন, নিরাপদ প্রসবের জন্য তারা তাদের সাহায্য করেন এবং শহরের পূর্ববর্তী সঙ্ঘচালক ডাঃ
বিকাশ ভোলে মাতৃসেবা হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসাও করান।
করোনার কারণে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ককে কাটিয়ে
স্বয়ংসেবকরা তাদের জীবনী প্রাণশক্তি দিয়ে এমন অনেক সেবা কার্য সম্পন্ন করেছেন।
সেবাগাথার পরবর্তী সংখ্যায়
পরবর্তী সেবাযাত্রা।
नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।