नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।
রোহিনী চ্যাটার্জী | কচ্ছ | গুজরাট
জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং মৃত্যু একটি চিরন্তন
সত্য। এই অনুভব শ্মশানে গেলে সবচেয়ে বেশি হয়। একজনকে দাহ করা কতটা দুঃসহ হতে
পারে, যে কিছু সময় আগেই আমাদের মাঝে ছিল। নারীরা
স্বভাবতই কোমল, তাই এই দুঃখ সইতে পারবে
না ভেবে হিন্দু সংস্কৃতিতে মেয়েরা শ্মশানে যায় না। আবার এমনও কিছু মেয়ে রয়েছেন
যারা স্বতঃস্ফূর্ত এগিয়ে এসে করোনার সময় মৃতদেহ সৎকারের দায়িত্ব সামলেছেন। আজ
এই গল্পে আমরা আপনাকে রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির এমন স্বেচ্ছাসেবী বোনদের সাথে পরিচয় করিয়ে
দেব।
২০২১ সালের
এপ্রিলের ঘটনা, কোভিডের দ্বিতীয়
ঢেউয়ের জন্য চারিদিকে হাহাকার উঠেছিল। সংক্রমণের ভয়ে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ঘরে ঘরে
লুকিয়ে বসে ছিল। করোনা পজিটিভ মৃতদেহের শেষকৃত্যের জন্য তাদের নিজের পরিবারের
লোকজনও প্রস্তুত ছিলেন না। এমন পরিস্থিতিতে, গুজরাট-কচ্ছের সুখপর
গ্রামের হিনা ভেলানি, রিংকু ভেকরিয়া, সুমিতা
ভূডিয়া, তুলসী ভেলানি সহ রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির ১০জন
বোন ঘাট পরিষ্কার, চিতা সাজানো থেকে শুরু
করে পি.পি.ই. কিট পড়ে সৎকারের সমস্ত কাজ
করে সকলকে অদ্ভুত সাহসের পরিচয় দিয়েছিল।
এই
প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল যখন ১৫ই এপ্রিল ২০২১ এর সন্ধ্যায়, ভুজ মহকুমা
উন্নয়ন অধিকারীর কাছ থেকে একটি ফোন আসে সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক রামজী ভেলানির কাছে
স্বয়ংসেবকদের কাছ থেকে সাহায্যের জন্য, যাতে ভুজের সরকারি
হাসপাতালে এই ধরনের মৃতদেহের শেষকৃত্য করা যেতে পারে।
যার
শেষকৃত্যের জন্য পরিবারের সদস্যরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, এমনকি
সরকারি কর্মচারীও পর্যাপ্ত ছিল না। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি দেখে সঙ্ঘের
কার্যকর্তারা একসাথে এই কাজের জন্য পুরুষ স্বয়ংসেবকদের একটি দল তৈরি করেছিলেন
সেইসময় তার মেয়ে হিনাও এতে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। হিনা এই কঠিন কাজটি করতে
পারবে কিনা তা নিয়ে তার বাবা কিছুটা আশঙ্কিত ছিলেন। কিন্তু তাদের আশঙ্কা ভুল
প্রমাণিত হয়, হিনার সাথে রাষ্ট্র
সেবিকা সমিতির আরও নয়জন বোনও এই কাজে যুক্ত হন।
তার
অভিজ্ঞতা শোনাতে গিয়ে সৌরাষ্ট্র প্রদেশের রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির প্রান্ত প্রচার
প্রসার প্রমুখ হিনা দিদি বলেন, আমরা ৩জন করে ছোট ছোট
দলে কাজ করছিলাম। প্রচণ্ড গরমে নিয়মিত শ্মশান ঘাট পরিষ্কার থেকে শুরু করে প্রচণ্ড
গরমের মধ্যে পি.পি.ই. কিট পড়ে কাজ করতে কোন কষ্ট অনুভব হয় নি। গ্রামের লোকজনও
পূর্ণ সহযোগিতা করে, যাদের বাড়িতে কাঠ ছিল
তারা কাঠ, কোথাও থেকে ঘি এসেছে, আবার কোথাও
থেকে কর্পূর।
এটা ছিল
লকডাউনের সময়, ভুজের হাসপাতাল এবং
আশেপাশের গ্রাম থেকে সমস্ত মৃতদেহের শেষকৃত্য আমাদের গ্রামের সুখপরের ঘাটে করা
হচ্ছিল। প্রায় ৪৫ দিন ধরে চলা এই অভিযানে ৪৫০ জনেরও বেশি মৃতদেহকে স্বয়ংসেবক দল
ও সমিতির বোনেরা মিলে শ্রদ্ধাপূর্বক সৎকার করে।
যখন এই কাজ
ধীরে ধীরে চলতে থাকে, বহু যুবক এই কাজে যুক্ত
হয়ে দাহ কাজে হাত দেয়, তখন সমিতির এই বোনেরা
মা অন্নপূর্ণার রূপ ধারণ করে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের টিফিনের দায়িত্ব নেন।
লকডাউনের সময় স্যানিটাইজার বিতরণের পাশাপাশি সেলাই মেশিনে মাস্ক তৈরি করে বাড়ি
বাড়ি বিতরণ করা, নিঃসঙ্গ অসহায়
বৃদ্ধদের বাড়িতে ওষুধ ফলমূল এবং খাবার পৌঁছে দেওয়া, সমস্ত
ধরণের সহায়তা দেওয়া। পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় এমন কোনো
সহযোগিতা বাকি ছিল না যা করোনার সময় এই সেবিকা বোনেরা করে নি।
যখন জিজ্ঞাসা
করা হত যে তারা কীভাবে এই সমস্ত করছে? তখন একটিই উত্তর আসত – সঙ্ঘের
পারিবারিক সংস্কার এবং সমিতির প্রশিক্ষণ বর্গের কারণে সব কিছু সম্ভব হয়েছে। তাই
বলা হয় “সঙ্ঘ শক্তি কলি যুগে”।
नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।