नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।
শঙ্খনাদ | তেলেঙ্গানা
ভারতী তার জীবনের সেই মুহূর্তটি কখনই ভুলতে পারে না যখন এক সড়ক দুর্ঘটনায় তার বাবা-মাকে হারানোর সাথে সাথে তার বাম পা ও ডান হাতও হারিয়ে তার জীবন ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছিল। বছর ছয়েকের ছোট্ট ভারতীর জীবন থেকে ভাগ্য যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তথাপি তার তীব্র প্রচেষ্টা নিরাশার আঁধার কাটিয়ে দেয়। ভারতীর বি.কম-এ কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে অধ্যয়ন সবাইকে অনুপ্রাণিত করেন যে, প্রতিকূল পরিস্থিতি যতই শক্তিশালী হোক না কেন, কিন্তু ইতিবাচক মার্গদর্শন যা আপনার পরাজয়কে জয়ে পরিণত করে।
ভারতীর জীবনের পথ প্রদর্শক, আত্মবিশ্বাস ও তার জীবনকে আধার প্রদানকারী পরিবার রূপে ছিল এই "বৈদেহী আশ্রম, ভাগ্যনগর"। মাত্র তিনজন মেয়ে নিয়ে শুরু হয়েছিল বৈদেহী আশ্রম। আশ্রমটি শুধুমাত্র অনেক অনাথ এবং ২০৫টিরও বেশি মেয়েদের সহায়তা দিচ্ছে যারা কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল। তার সাথে তাদের একটি সুন্দর পরিবারের আনন্দ, উদ্দীপনা এবং জীবন উদযাপন করারও সুযোগ দিচ্ছে।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক
সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক সম্পাদক শ্রী বালকৃষ্ণ বলেন যে, প্রয়াত শ্রী পি ভি দেশমুখ জীর মার্গ দর্শনে মহিলা ও
শিশুদের সমস্যাগুলির দিকে মনোনিবেশ করার জন্য ভাগ্যনগরে (হায়দরাবাদ) ১৯৯৩ সালে
সেবা ভারতীর একটি প্রকল্প হিসাবে বৈদেহী সেবা সমিতি আরম্ভ হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে
সঙ্ঘের তৎকালীন সর্বভারতীয় সেবা প্রমুখ শ্রী সূর্যনারায়ণ রাও বৈদেহী সেবা সমিতির নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এই আশ্রমের নতুন ভবনটি ২০০০ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক মাননীয় মোহন রাও
ভাগবত উদ্বোধন করেন।
এই আশ্রম থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর উমা দেবী সুখী দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করছেন, তিনি গর্ব করে বলেছেন যে "বৈদেহী আশ্রমে পালিত হয়ে আমি খুব ভাগ্যশালিনী। আমার ৫ বছরের ছেলে স্বাধীনতা সংগ্রামীর ভূমিকায় অভিনয় করে বিদ্যালয়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে, তার সমস্ত কৃতিত্ব বৈদেহী আশ্রমের। কারণ এখানে ছোটবেলা থেকেই নাচ, গান, নাটক, ক্যারাটে, খেলাধুলার মতো অনেক কাজে অংশগ্রহণ ও শেখার সুযোগ পেয়েছি। যার সুফল আজ আমার তিন সন্তান পাচ্ছে।
বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর
কুমারী পি রাঙ্গাম্মা জানতেন না যে তার হস্তশিল্প কাগজের কুইলিং এবং মুক্তার
গহনাগুলি লণ্ডনের পথেও সমাদৃত হবে। আজ রাঙ্গাম্মা এই আশ্রমে তার ছোট ছোট বোনদের
যোগব্যায়াম, ক্যারাটে, নাচ, গান ও হস্তশিল্পের সমস্ত বিষয় শেখায়।
বৈদেহী আশ্রমের সভাপতি এম
সীতা কুমারী, যিনি এই আশ্রমের পরিচর্যা
করেন এবং কন্যাদের প্রতি মুহূর্তে তার স্নেহ ও মার্গদর্শন দিয়ে সহায়তা করেন।
তিনি অত্যন্ত আনন্দের সাথে বলেছেন যে, "প্রতি বছর বৈদেহী আশ্রমের প্রাঙ্গণে বিয়ে বা অন্য কোন
অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যাতে আমাদের মেয়েরা এবং
তাদের পরিবারকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের সাথে শিশুরাও এখানে আসে এবং
আত্মীয়-স্বজন এবং নাতি-নাতনিদের একটি বিশাল পরিবারের আনন্দে এই আঙিনা আনন্দে ভরে
ওঠে।
করোনা মহামারী চলাকালীন একটি হেল্পলাইন কেন্দ্রও চালিয়েছিল এখানকার মেয়েরা চালিয়েছিল।
বৈদেহী আশ্রম থেকে ৬-১০
বছরের অনাথ বালিকাদের দত্তক দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। আশ্রমের কার্যকর্তারা
মাতা-পিতার মত যত্ন সহকারে ভরনপোষণের পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষালাভ, সংস্কার, জীবন কৌশল বিকাশ ও ব্যক্তিত্ব বিকাশের সম্পূর্ণ দায়িত্ব
নির্বাহন করার মাধ্যমে তাদের সমাজে আদর্শ ও প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব হিসাবে গড়ে
তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন। গুণগত মান বজায় রাখতে সব মেয়ে সরস্বতী শিশু
মন্দির উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করে। এখানে এই মেয়েদের
খেলাধুলা, বিজ্ঞান মেলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করতে
উৎসাহিত করা হয়। বৈদেহী আশ্রম শিক্ষা, সংস্কৃতি ও দেশপ্রেমের পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করার পর
বিবাহ পর্যন্ত সম্পূর্ণ দায়িত্ব বহন করে। আজ এই আশ্রমের ২১ জন মেয়ে স্নাতকোত্তর
করে চাকরি করছে। ২০২১ পর্যন্ত বৈদেহী আশ্রমে ৪৫ জন মেয়ের বিয়েতে পিতামাতার সমস্ত
দায়িত্ব পালন করেছে এবং আজও এই আশ্রমটিই তাদের বাপের বাড়ি।
একদিকে যেমন সমাজে মেয়ে
হওয়াটাই সংগ্রামে, সেইখানে এই বৈদেহী আশ্রম
প্রখর রোদে এক বিশাল গাছের ছায়ার মত। যারা এই ছোট মেয়েগুলোকে সব কাজে পারদর্শী
করে তাদের আত্মবিশ্বাসে ভরিয়ে মুক্ত নবত্থানের পথ করে দেয়।
যোগাযোগ:- এম সীতাকুমারী
(চেয়ারপার্সন) বৈদেহী আশ্রম
মো. নং :- 9491993974,
9032152105
नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।