नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।
সোমকান্ত | ঔরঙ্গাবাদ | মহারাষ্ট্র
অভাবগ্রস্ত
পরিবারে নিঃশুল্ক ভোজন সরবরাহকারী কার্যকর্তা
ঔরাঙ্গাবাদের সন্নিকটে ছোট্ট গ্রাম খামখেডাতে ৬৫ বছরের ভামা ঠাকুরমার চোখে জল চলে আসে আজ যখন প্রথমবার তিনি সরকারি কাগজে টিপছাপ দেওয়ার পরিবর্তে কলম দিয়ে হস্তাক্ষর করছিলেন। এত বছর ধরে নিজের গ্রামের নাম জানলেও আজ বাসের গায়ে লেখা তার গ্রামের নাম “খামখেডা”-কে জোরে জোরে পড়ে সকল গ্রামবাসীকে বলছিলেন যে, তিনি লিখতে পড়তে জানেন। তার নিজের উপরই বিশ্বাস হচ্ছিল না যে, উনি পড়তে শিখে গেছেন। অপরদিকে ঔরঙ্গাবাদের ইন্দিরা নগরের বাসিন্দা আশা তার মাতাল স্বামীর কারণে একমুঠো খাবারের জন্য অসহায় হয়ে পড়ে, উন্নতির সব আশায় ছেড়ে দেয়, মাত্র ২২বছরের আশা কোন ভাবে সাবিত্রীবাঈ ফুলে একাত্ম সমাজ মণ্ডলের সম্পর্কে আসে। বর্তমানে আশা জেঠি এই ৪২বছর বয়সে তার নার্সিং সংস্থাতে কাজ শেখানোর সাথে সাথে উপার্জনের সুযোগও করে দিচ্ছেন। সামাজিক কুরীতির সমস্ত বেড়াজাল ভেঙে বন্ধ থাকা পড়াশোনা আবারও শুরু করে মাধ্যমিক ও বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক এমনকি স্নাতক হওয়া, তাও তিন তিনটে বাচ্চাকে মানুষ করার সাথে সাথে, তা খুব সহজ কথা নয়। কিন্তু সংস্থার “সশক্ত নারী”, “সশক্ত পরিবার” এই ভাবনাই আত্মবিশ্বাসের সাথে জীবনের নতুন দিশা এনে দেয়।
মণ্ডলের
দ্বারা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সম্মেলন
মণ্ডলের সভাপতি ও ঔরঙ্গাবাদের প্রাক্তন নগর কার্যবাহ ডা. দিবাকর কুলকর্ণী বলেন
যে, সাবিত্রীবাঈ ফুলে একাত্ম
সমাজ মণ্ডল থেকে স্বেচ্ছাসেবী মহিলাদের ৩০২টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও বিভিন্ন প্রকল্প
থেকে প্রায় ২০০০-এর বেশি সেবাব্রতী (স্বেচ্ছাসেবী) যুক্ত রয়েছে। এর অন্তর্ভুক্ত
প্রায় ৪৩টিরও বেশি প্রকল্প যার মধ্যে কিছু নিঃশুল্ক অথবা কিছু নামমাত্র শুল্ক
নিয়ে চালানো হয়। যেখানে নিঃস্বার্থ সেবা ভাবনাতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য, সেবা, শিক্ষা, কৃষি, সুরক্ষিত জল, বালক, ছাত্র ও কিশোর-কিশোরীর
জন্য ব্যক্তিত্ব বিকাশ কেন্দ্র, নারী সশক্তিকরণ ও
জীবনস্তরকে সুদৃঢ় এবং সমৃদ্ধ করার কৌশল বিকাশ কেন্দ্রের মত প্রকল্পের লাভ
ঔরঙ্গাবাদ নগরের ৪৫টি পিছিয়ে পড়া বস্তিতে ও আশপাশের ২৭০টি গ্রামের প্রায়
৫৫লক্ষের অধিক মানুষ কোন না কোন ভাবে পেয়েছে।
লক্ষাধিক মানুষের জীবনে আশার আলো প্রদানকারী এই মণ্ডলের প্রতিষ্ঠা কবে,
কীভাবে হল, তা খুব মজাদার ঘটনা – সাধারণ মানুষকে স্বল্প ব্যয়ে উন্নত স্বাস্থ্য প্রদান করার
উদ্দেশ্য নিয়ে ডা. বাবাসাহেব আম্বেদকর বৈদ্যকীয় প্রতিষ্ঠানের অন্তর্গত ৭জন
ডাক্তার নিজেরাই পুঁজি জমা করে ১৯৮৯ সালে ডা. হেডগেওয়ার হাসপাতালের (ঔরাঙ্গাবাদ)
প্রতিষ্ঠা করেন।
সবার প্রথমে ডা. হেডগেওয়ার হাসপাতালের মাধ্যমে নগরীয় তিনটি অনুন্নত বস্তিতে
আরোগ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। কিন্তু তা পর্যাপ্ত ছিল না, সেখানকার বাচ্চাদের পড়াশোনা আর মহিলাদের সশক্তিকরণের
প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ১৯৯৪এ সাবিত্রীবাঈ ফুলে একাত্ম সমাজ মণ্ডল(SPMESM) স্থাপন করা হয়।
সাবিত্রীবাঈ ফুলে একাত্ম সমাজ মণ্ডলের ট্রাস্টি মাধুরী দি বলেন, অর্থাভাব ও বাল্যবিবাহের মানসিকতা এই সব বস্তির
অতিসাধারণ ব্যাপার।
বছর ষোলোর প্রিয়াঙ্কা খুব শান্ত ও লাজুক প্রকৃতির ছিল, সাধারণত এমন মেয়েদের খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যায়,
কিন্তু সে পড়াশোনার পাশাপাশি মণ্ডলের
সহযোগিতায় মুকুন্দবাড়িতে ক্যারাটের প্রশিক্ষণ নেয়। বর্তমানে ব্ল্যাকবেল্ট
প্রিয়াঙ্কা রাজ্য চ্যাম্পিয়ন, আর সে মুকুন্দবাড়ি
আরোগ্য কেন্দ্রে বাচ্চাদের নিঃশুল্ক প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।
এখন মেয়েরা নিজেরাই সংগঠিত হয়ে স্বনির্ভর হয়েছে। মণ্ডলের অন্তর্গত ১৮টি
বিদ্যার্থী বিকাশ কেন্দ্র ও ১৯টি কিশোরী বিকাশ কেন্দ্রের ১০টিতে ১৫,০০০-এর বেশি ছেলেমেয়েদের বিকাশের কাজ চলছে। কম
বয়সেই বিয়ে আর পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে নজর রাখা ও তা প্রতিরোধ বিভিন্ন
কার্যকলাপের সাথে শিক্ষার প্রসারে, কৈশোর কালীন বিষয়ে সচেতনতা
ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিষয়ক সব ধরনের কাজ চলছে। এর মাধ্যমে যুব প্রজন্ম সাক্ষর,
সক্ষম, স্বনির্ভর ও নারী সশক্তিকরণের কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করে নিজেদের আত্মসম্মান ও
নিজেদের ভবিষ্যৎ সংরক্ষণ সংবর্ধন করছে।
স্বনির্ভর করে তোলা কৌশল বিকাশ কেন্দ্র গ্রামে বা শহরে সার্বিক জীবন স্তর
উন্নত করে চলেছে। নীলম কখনও ভাবেনি যে সে ঔরঙ্গাবাদের একজন নামকরা বিউটিশিয়ান হতে
পারবে। তেমনই মীনাক্ষিরও আটা মিলের মালিক হওয়া কল্পনার মধ্যেও ছিল না। পঞ্চম
শ্রেণীতে পড়তে আসা আজ জলশোধন ফ্যাক্টারির মালিক, সে ঐ সংস্থাতে তার সহযোগ করার জন্য সর্বদা তৎপর থাকে।
মণ্ডলের সমস্ত কার্যকলাপের শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী সবিতা
কুলকর্ণী বলেন—
দেশের ভবিষ্যত শিশুদের উচ্চ সংস্কার ও পালন-পোষণের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে, মণ্ডলের প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র শুধু
বাচ্চাদের নয় বরং তার সাথে শিক্ষক ও অভিভাবকদেরও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
বিহঙ্গ শিক্ষণ কেন্দ্রে দিব্যাঙ্গ শিশুদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অডিওলজি স্পিচ থেরাপি,
ফিজিওথেরাপি, সঙ্গীত থেরাপি সাপোর্ট, পেরেণ্টস্ সাপোর্ট গ্রুপ, স্পেশাল এডুকেশনের উপর ট্রেনিং কোর্স ইত্যাদি কার্যকলাপ চলছে। ৩০০র অধিক দিব্যাঙ্গ
শিশুদের জন্য নতুন পরিসর নির্মাণও হচ্ছে।
ডাক্তার ভগবানের রূপ- তা তো আমরা সবাই জানি, কিন্তু এই সংস্থার অন্তর্গত চলা বিভিন্ন বিভাগে আমাদের
ডাক্তারদের উদার চিন্তা ও তাদের অভূতপূর্ব কার্যক্ষেত্রে তা ভালোই দেখা যাচ্ছে।
সম্পর্ক সূত্র : সবিতা
কুলকর্ণী
চলভাষ- 7721915223
नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।