सब्‍सक्राईब करें

क्या आप ईमेल पर नियमित कहानियां प्राप्त करना चाहेंगे?

नियमित अपडेट के लिए सब्‍सक्राईब करें।

চিতাগ্নি —মোবাইল শেষ সংস্কার ইউনিট

ডা মধু কপূর | এন্ডোরকোনাম | কেরালা

parivartan-img

৬ই মার্চ ২০২১ সালের ঘটনা। কেরালায় একটি ছোট গ্রাম অণ্ডোরকোনমে বৃদ্ধ রঙ্গরাজন (পরিবর্তিত নাম) কোরোনায় আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷ বিড়ম্বনা হল যে তার পরিবারের লোকজন চিকিসার জন্য যত না সমস্যা পড়েছে, তার চেয়েও বড় সমস্যায় পড়ে অন্তিম সংস্কারের জন্য। আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁর অন্তিম সংস্কারের জন্য কোন শ্মশানে জায়গা পেলেন না৷ নিরুপায় ও পরিশ্রান্ত হয়ে তারা শেষ পর্যন্ত সেবা ভারতী কেরালার কাছে সাহায্য চাই। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই এক মোবাইল ভ্যান অন্তিম সংস্কার ইউনিট তাদের দরজায় এসে দাঁড়ায়৷ শুধু দুটি এল.পি.জি সিলিণ্ডার ব্যবহার করে কার্যকর্তাদের সহযোগিতায়  রঙ্গরাজনের পরিবারজন ওনার অন্তিম সংস্কার সম্পন্ন করেন৷ সেবা ইণ্টারন্যাশনালের সাহায্যে কেরালা সেবা ভারতীর এই চিতাগ্নিপ্রকল্প ১৩টি জেলায় সক্রিয় রয়েছে, যেসব পরিবারের লোকজন নিজের পরিজনদের অন্তিম সংস্কার বাড়ির নিকটেই করতে বাধ্য, তাদের জন্য এই সংস্থা একটি বরদান স্বরূপ৷ কেরালা সেবা ভারতীর অধ্যক্ষ কিরণকুমার মহাশয় জানান যে, চিতাগ্নি এক ইকো-ফ্রেণ্ডলি ইউনিক প্রজেক্ট যাতে কাঠের প্রয়োজন হয় না৷


মৃত্যু সর্বদাই কষ্টদায়ক৷ পরিবার থেকে যখনই কেউ চিরবিদায় নেয়, তখন পুরো পরিবার শোকগ্রস্থ হয়ে পড়ে৷ কিন্তু সেমতাবস্থায় পরিবারজন সম্পূর্ণ বিধি মেনেই নিজের পরিজনকে শ্রদ্ধার সাথে শেষ বিদায় দিতে চায়৷ এই কঠোর নিয়ম পালন করায় মানুষের নিয়তি৷ কিন্তু সমস্যা তখনই দেখা দেয়, যখন তার প্রিয়জনকে অন্তিম সংস্কারের জন্য দুগজ জমিও জোটে না৷ কেরলে ছোট ছোট বস্তিতে থাকা লোকজন বহু বছর ধরেই এই কষ্টকর মর্মান্তিক অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছে, শ্মশানে একটু জায়গা পাচ্ছে না। তাই তাঁরা নিজের ক্ষুদ্র জমিতেই প্রিয়জন কে শেষ বিদায় দিতে বাধ্য হয়৷ কেউ কেউ তো ১০ কিলোমিটার দূরের কোন শুনশান জায়গায় দাহ কার্য সম্পন্ন করে৷


কোরোনা কালে তো এই সমস্যা আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছিল। মৃত্যুর সংখ্যা এতটা বেশি ছিল যে বাধ্য হয়ে মৃতদেহকে ৩দিনও নিজের বাড়িতে রাখতে হত। কেরালা সেবা ভারতী সেবা ইণ্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় চিতাগ্নিপ্রজেক্ট ২০১৯-এই এইসব পরিবারের কথা মাথায় রেখে শুরু করে। স্টার্ট চেয়ার ম্যানুফ্যাকচারের দ্বারা তৈরি এই অভিনব মোবাইল অন্তিম সংস্কার ইউনিট’ (শ্মশান গৃহ) দুঃস্থ পরিবারকে নিঃশুল্ক সেবা কেরালায় ১৩টি জেলায় প্রদান করে। দক্ষিণ ক্ষেত্রের ক্ষেত্র সেবা প্রমুখ শ্রী পদ্মকুমার বলেন কেরালায় সেবা ভারতী শুধু এই কাজের জন্যই একটি পৃথক হেল্পলাইন চালাচ্ছে। যাতে প্রায় দিনই লোকেরা শেষ-কৃত্যের জন্য সাহায্যে চেয়ে থাকেন। তিনি আরও জানান যে, যত সংকীর্ণ বস্তি হোক বা বনবাসী ক্ষেত্র, মোবাইল শবদাহ ভ্যান যথা শীঘ্র সেখানে পৌঁছে যায়।


যদি অতীতের কথা বলা হয় তো, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কোট্টায়াম বিভাগের সঙ্ঘচালক ডা. পি.চিদম্বরনাথজী অনেক বছর এই সমস্যার সমাধানের জন্য মোবাইল সংস্কার ইউনিটপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছিলেন।

ওনার জীবিতকালে যেটা সম্ভব হয়নি তা ওনার মৃত্যুর এক বছর পর সেখানকার স্বয়ংসেবকরা  প্রথম মোবাইল সংস্কার ইউনিটআরম্ভ করে তাঁর স্বপ্ন পূরণ করে। চিতাগ্নি, বিদ্যু শবদাহ গৃহেরই একটি রূপ। এতে মৃতদেহ পোড়ানোর জন্য এক থেকে দেড়টা এল.পি.জি সিলিণ্ডারের প্রয়োজন হয়। অর্থা শুধু ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিধিব শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়ে যায়। ছাড়া কাঠের ব্যবহার না হওয়ায় পরিবেশও দূষিত হয় না। অতি দরিদ্র পরিবারের জন্য সেবা ভারতী কেরালা এই যোজনার দ্বারা ১৩টি জেলা থেকে ভবিষ্যতে দক্ষিণ ভারতে ১০০টি জেলায় পৌঁছানোর রূপরেখা তৈরি করছে।

389 Views
अगली कहानी