नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।
বিজয়লক্ষ্মী সিংহ | মহারাষ্ট্র
শীত, গ্রীষ্ম আর বর্ষা সবসময়ই পায়ে হাওয়াই চটি আর পড়ণে
অতিসাধারণ ধুতি-পাঞ্জাবি,
তলাসরীর দুর্গম বনবাসী
গ্রামে দূর দূরান্ত পায়ে হেঁটে সেখানকার শিশুদের জন্য শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়া
মাধবরাওজীর জীবনের সমর্পিত ৫০বছরের এই কাহিনী, যা এই প্রজন্মের পড়া উচিৎ আর অন্যদের পড়ানোরও প্রয়োজন।
১৫ই ডিসেম্বর ১৯২৭ সালে মহারাষ্ট্রের কল্যাণের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে মাধবরাওজীর জন্ম। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক রূপে সমর্পিত জীবনব্রতীর মধ্যে তিনিও ছিলেন একজন, যাদের জীবন যাত্রাকে দেখে সঙ্ঘের সম্বন্ধে ধারণা পরিস্ফুট হয়। মহারাষ্ট্রের থানে জেলার তলাসরী মহকুমার বনবাসী বালকদের শিক্ষিত করার সাথে সাথে তাদের উন্নতির জন্য দীর্ঘ ২৮বছর তাদের একজন হয়েই জীবন যাপন করেন। তাঁর সারাজীবন ছিল পরহিতে নিবেদিত।
যুবাবস্থাতেই গোয়া মুক্তি সংগ্রামে সত্যাগ্রহী
রূপে আত্মনিয়োগকারী মাধবরাওজী পরবর্তীকালে ১৯৬৪ সালে কল্যাণের নগর নিগমের তৎকালীন সর্বকনিষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। ওনার কার্যকাল সবচেয়ে সফল হিসাবে পরিগণিত হয়।
কিন্তু সেই আধুনিক তপস্বী তাঁর গুরু তথা
কল্যাণের বিভাগ প্রচারক দামু আন্না টোকেকরজীর আহ্বানে রাজনীতির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎকে সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করে বনবাসীদের সেবার জন্য তলাসরীর দুর্গম পথের দিকে অগ্রসর হন।
মাধবরাওজীর নিরলস প্রয়াসে ১৯৬৭ সালে হিন্দু সেবা সঙ্ঘের মাধ্যমে মাত্র পাঁচজন ছাত্র নিয়ে একটি ঝুপড়ি বাড়িতে বনবাসী বস্তি গৃহ নামে জনজাতি বালকদের পড়ানোর জন্য একটি ছাত্রাবাস শুরু করেন। পরবর্তীকালে মাধবরাওজীর প্রচেষ্টার কারণেই ছাত্রাবাসের জন্য পৌনে দশ একর জমি দান হিসাবে সংগৃহীত হয়।
এই ছাত্রাবাস থেকে বিগত ৫৫বছরে দুই হাজারেরও
অধিক ছাত্র পড়াশোনা করে বহু ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখান থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আরও বিভিন্ন
উচ্চ পদে নিয়োগ হয়েছে, এই ছাত্রদের সংস্কারিত
করে উপযুক্ত মানুষ রূপে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার পিছনে মাধবরাওজী ২৮বছর ধরে নিরন্তর
নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। কখনও কখনও তো সেই সব ছাত্রদের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য বহু মাইল পথ পায়ে হেঁটে তাদের বাড়িতে গেছেন।
মাধবরাওজীর ছায়াসঙ্গী রূপে ছাত্রাবাস পরিচালনা কারী তৃতীয় বর্ষ শিক্ষিত স্বয়ংসেবক আপ্পাজী জোশী বলেন, প্রকৃত অর্থে তিনি ছিলেন আধুনিক যুগের সন্ত। তিনি সবসময়ই খাটিয়ার উপর ঘুমাতেন, ঝুপড়িতেই থাকতেন আর পায়ে হেঁটেই পরিভ্রমণ করতেন। ওনার প্রচেষ্টার কারণেই তলাসরী, দহানু আর পালঘরে নক্সালবাদ নির্মূল হয়।
দীর্ঘ ২৪বছর কল্যাণে অবস্থিত তাঁর ঘরটিই বনবাসী
বালকদের আশ্রয়স্থল হয়ে গিয়েছিল। মাত্র ১৭বছরে পিতৃ-মাতৃহারা মাধবরাওজী অন্তিম
সময়ে যখন ক্যান্সার আক্রান্ত হন তখন তিনি ডাক্তারের কাছে অনুরোধ করেন যে, তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় খরচের অর্থ ছাত্রাবাসের কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়। কারণ তাঁর জীবনযাত্রা পূর্ণ করে ফেলেছেন। দত্তোপন্ত ঠেংড়ীজী বলেন,-“খ্যাতির চাকচিক্য থেকে দূরে দুর্গম অন্ধকারের মধ্যে বিকাশের দ্বার উন্মুক্ত
করার জন্য মাধবরাওজী সম্পূর্ণ জীবন সমর্পিত করেছেন।”
नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।