नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।
সোমকান্ত | যশপুর | ছত্তিশগড়
বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের
প্রতিষ্ঠাতা- বালাসাহেব দেশপাণ্ডে
আজ থেকে ৭৪ বছর আগে এক যুবক নাগপুর থেকে ৭০৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে জশপুরে
এসে পৌঁছান। এই যাওয়াটা আর পাঁচজনের যাতায়াতের মত ছিল না, সাংস্কৃতিক বাতাবরনে সমৃদ্ধ নাগপুর থেকে
সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের শিকার জশপুরের দিকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। রাষ্ট্রীয়
স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রথম প্রজন্মের স্বয়ংসেবক বালাসাহেব দেশপাণ্ডে জী, তিনি ১৯৪৮-এ তৎকালীন মধ্যপ্রান্তের (বর্তমানে ছত্তিসগড়) দুর্গম বনবাসী এলাকা জশপুরে সেখানকার বনবাসীদের শিক্ষিত করে তাদেরকে আমাদের মূল সংস্কৃতির সাথে
যুক্ত করতে আর তাদের মধ্যে স্বাভিমান
বোধের পুনর্জাগরিত করার ব্রত নিয়ে যান। জশপুরকে কেন্দ্র করে সেখানে চলা দেশবিরোধী
গতিবিধির প্রবল বিরোধিতা উপেক্ষা করে বনবাসী কল্যাণের এই মহৎ কাজ সম্পন্ন করেন। প্রথমের দিকে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আর
পরবর্তীকালে স্বাধীন ভাবে বনবাসীদের তাদের মূল সংস্কৃতির সাথে যুক্ত রাখতে নিরন্তর
কর্ম সাধনার মধ্যে থেকেই দেশের সর্ব বৃহৎ বনবাসী সংগঠন “বনবাসী কল্যাণ আশ্রম”-এর জন্ম হয় ১৯৫২ সালে। নিষ্কাম কর্মযোগী বালাসাহেব
দেশপাণ্ডে জীর হাতে তৈরি কল্যাণ আশ্রম আজ সারা দেশে বনবাসীদের জন্য ১৯,৩৯৮টি সেবা প্রকল্প চালাচ্ছে।
এক সময় যার বীণার স্বর সকলকে আকৃষ্ট করে রাখত, সেই বালাসাহেব জীর জন্ম ১৯১৩ সালের ৬ই ডিসেম্বরে অমরাবতীতে হয়েছিল। শ্রীযুক্ত কেশব দেশপাণ্ডে ও শ্রীমতী লক্ষ্মীবাঈ-এর সুপুত্র রমাকান্ত (বালাসাহেব) যে ইতিহাস গড়েছেন তা সঙ্ঘের বহু প্রজন্ম ধরে সেই কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করবে।
পরম শ্রদ্ধেয় বালাসাহেব
দেবরাস জি ও রাজা বিজয় ভূষণ সিং জুদেব জি
রমাকান্ত ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। নাগপুর থেকে এম.এ., এল.এল.বি.-র পড়া শেষ করে রেশন দপ্তরে চাকরি
করেন। কিন্তু একটি বিষয়ে সরকারের সাথে মত পার্থক্য হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সেই
চাকরি ছেড়ে দেন আর তারপর রামটেকে ওকালতি শুরু করেন। মহৎ কাজ করার জন্য ঈশ্বর যাকে ঠিক করে রেখেছেন, তার জীবন কি আর পাঁচ জনের
মত হতে পারে?
হয়তো সেই কারণেই ভালো পসার জমানো ওকালতি ছেড়ে রমাকান্ত এক সাহসী পদক্ষেপ
গ্রহণ করেন। তিনি নামকরা সমাজ সেবী বণিকর জীর আগ্রহে এবং সঙ্ঘের তৎকালীন সরসঙ্ঘচালক শ্রী গুরুজীর মতামত নিয়ে এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে জশপুরে ব্যাকওয়ার্ড এরিয়া ডেভেলপমেণ্ট অফিসার হিসেবে পৌঁছান।
জাতীয় বানভাসি ক্রীড়া উৎসবে বালাসাহেব জি
বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের এক সময়ের অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদক শ্রী গুণবন্ত
সিংহ কোঠারী বলেন যে, বালাসাহেব জী যখন জশপুরে
পৌঁছান সেই সময় সেখানকার বনবাসী সমাজ নিজেদের আত্মপরিচয় আর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য
লড়াই করে যাচ্ছিল। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে নক্সালবাদের মত শক্তির সামনে নব
নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী পণ্ডিত রবিশঙ্কর শুক্লের সরকারও যেন নিরুপায় ছিল। বনবাসীরা
তাদের পরম্পরা ভুলতে বসেছিল, দেশের প্রতিও বিরোধী
মনোভাব প্রবল হচ্ছিল। এই সমাজকে তাদের মূল সংস্কৃতির সাথে জুড়ে রাখতে “সেবার মাধ্যমে তাদের আপন করে তাদের বিশ্বাস
অর্জন করতে হবে” গুরুজীর এই কথাকে পাথেয়
করে বালাসাহেব জী ১৯৪৮-এ শিক্ষাকে মাধ্যম করে জশপুরে কাজ শুরু করেন।
পরিস্থিতির সাথে সংঘর্ষ করার চেয়ে
পরিস্থিতিকেই অনুকূলে আনার পথকেই বেছে নেন।
মাত্র এক বছরের মধ্যেই প্রশাসনের সহযোগিতায় ১০০টি প্রাথমিক ও ৮টি উচ্চ
বিদ্যালয় শুরু করা হয়। এই বিদ্যালয়গুলির জন্য তিনি সুস্থ-সবল তথা চরিত্রবান
শিক্ষক নিযুক্ত করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে চার্চের প্রভাব সমাপ্ত করার পর বালাসাহেব জীর
বনবাসীদের তাদের ধার্মিক পরম্পরার সাথে যুক্ত করার জন্য অভিযান শুরু করেন। সেই
সময়কার উরাঁও ও কঁবর জনজাতির নেতা ও সাধুসন্তের সাথে নিয়ে সনাতন ধর্ম সভার
প্রতিষ্ঠা করেন। জশপুর ও তার আশপাশের গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ভজন মণ্ডলী তৈরি করে
সংকীর্তন আরম্ভ হয়। মাত্র এক বছরের মধ্যেই ব্যাপক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হতে শুরু
করে।
ক সময় যে কুনকুরীতে বনবাসীরা মুখ্যমন্ত্রী পণ্ডিত রবিশঙ্কর শুক্লকে ঢুকতে
দেয় নি, সেই বনবাসীরাই কান্সাবেলে
১৯৪৯-এ ঠক্কর বাপ্পাকে “ভারত মাতা কী জয়” উদ্ঘোষ সাথে পুষ্পবৃষ্টি করে ঢোল-নাগাড়া
বাজিয়ে স্বাগত জানায়।
দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ এই যুবকের সত্যিকারের পরীক্ষা তো তখন শুরু হল যখন ১৯৫১ সালের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের পর নব নির্বাচিত সরকার বনবাসীদের উন্নয়নের বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন হয়ে যায়। ওনার সব রকম বাহ্যিক সহযোগিতা বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়েই চাকরি ছেড়ে ওকালতি করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বালাসাহেব জী নাগপুরে গিয়ে পূজনীয় শ্রীগুরুজীর সাথে সাক্ষাত করে ভবিষ্যতে কীভাবে কাজ করবে সেই বিষয়ে মার্গদর্শন লাভ করেন। “সামাজিক কাজ কেবলমাত্র সরকারের ভরসায় চলে না নিজস্ব সংস্থা রেজিস্টার করে বনবাসী কল্যাণের কাজ করতে হবে” গুরুজীর এই বাক্যকে পাথেয় করে পুনরায় জশপুরের পথে অগ্রসর হন। আর এইবারে তিনি একা ছিলেন না, সাথে খণ্ডবার বিভাগ প্রচারক মোরুভাঊ কেতকরও ছিলেন। বালাসাহেব ও মোরুভাঊ সেই দুর্গম বনাঞ্চলে মাইলের পর মাইল সাইকেল চালিয়ে বনবাসী সমাজকে আপন করে নিতে বাড়ি বাড়ি সম্পর্ক করে যাচ্ছিলেন।
জশপুরের স্থানীয় রাজবংশের রাজা বিজয় ভূষণ সিংহ জুদেব এই কার্যকর্তাদের দেখে
এতটা প্রভাবিত হন যে তিনি এই কাজের জন্য তিনি তার পুরানো মহলের দুইটি ঘর দান করে
দেন। শুধু এইটুকুই নয়, সমাজ কল্যাণের এই কাজ
যাতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চলতে পারে তার জন্য মহারাজা বিভিন্ন সময়ে অর্থের ব্যবস্থা
করে থাকেন। আর দেখতে দেখতে ১৯৫২ সালের ২৬শে ডিসেম্বরের সেই ঐতিহাসিক দিনে রাজার
পুরানো মহলের বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের প্রথম ছাত্রাবাস প্রতিষ্ঠা হয়। অগণিত বাধা
থাকা সত্ত্বেও এই তপস্বীর তপস্যা অটল থাকে। বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের অখিল ভারতীয়
প্রচার প্রমুখ প্রমোদ পৈঠঙ্কর জী বলেন, ১৩ জন শিশুকে নিয়ে ছাত্রাবাস আরম্ভ হয়। প্রথম দিকে তাদের
ভোজনের বন্দোবস্ত করাও খুব কঠিন কাজ ছিল। খরচের বেশিরভাগটাই বালাসাহেব জী নিজের
উপার্জন দিয়েই চালাতেন।
বাঁধন হারা বনবাসী ছেলেদের অনুশাসনের বাঁধনে রাখা ছিল যথেষ্টই কষ্টসাধ্য, তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণেই
বালাসাহেব ও মোরুভাঊ তাদেরকে বিধিবদ্ধ দিনচর্যা আর সংস্কারযুক্ত শিক্ষা দেওয়ার
চেষ্টা করান। ধীরে ধীরে ছাত্রাবাসে ছাত্রের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এই দুরূহ
যাত্রাপথে বালাসাহেব জীর সহধর্মিণী প্রভাবতী দেবী প্রতিটি পদক্ষেপে তার পাশে
থাকেন। বালাসাহেব জীর ছোট ছেলে সতীশ জী বলেন, তার মাকে সমস্ত বাচ্চা-কাচ্চা আর কার্যকর্তারাও আঈ (মারাঠি
ভাষায় মা) বলেই ডাকতো।
দিন দিন বালাসাহেব জীর বনবাসী কল্যাণের সংকল্প দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হতে থাকে।
কাজের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে অনবরত প্রবাসের সাথে সাথে নতুন নতুন
কার্যকর্তা নির্মাণও খুবই প্রয়োজন ছিল, তার জন্য বালাসাহেব ও মোরুভাঊ নিয়মিত ২০-২৫ কিলোমিটার
কেবলমাত্র সাইকেলে করে হিংস্র জন্তু জানোয়ারের ভয় উপেক্ষা করে দুর্গম জঙ্গলের
মধ্যে বনবাসীদের সাথে দেখা করে তাদেরকে এই কাজের গুরুত্ব বোঝাতে থাকেন। ১৯৫৬-তে
বিধিবদ্ধ ভাবে যখন কল্যাণ আশ্রম সংস্থা হিসেবে পঞ্জীকৃত (রেজিস্টার) হয়, ততদিনে অনেক কার্যকর্তা আশ্রমের সাথে যুক্ত
হয়ে গিয়েছিল, আরও অনেক ক’টা বিদ্যালয়ও খোলা হয়। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে
১৯৬২ সালে কল্যাণ আশ্রমের পুরানো জরাজীর্ণ ভবনটি ভেঙে যাওয়ায় একটি বড় পরীক্ষার
সম্মুখীন হতে হয়। আরও একবার দেবদূতের মত মহারাজা বিজয় ভূষণ সিংহ জুদেব উপস্থিত
হয়ে নিজের রাজত্ব থেকে চার একর জমি বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের জন্য দান করেন। সেখানেই
আশ্রমের যে বড় ভবনটি নির্মাণ করা হয় বর্তমানে সেটিই কল্যাণ আশ্রমের প্রধান
কার্যালয়। এই ভবনেই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসালয় শুরুর সাথে সাথেই বালাসাহেব জীর পরিকল্পনা অনুযায়ী আশ্রম শিক্ষার সাথে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও অগ্রসর হয়।
তিনি জানতেন, বনবাসী সমাজকে পাশে পেতে
হলে সমাজের সন্তদের কল্যাণ আশ্রমের সাথে যুক্ত করতে হবে। এর জন্য তিনি বনবাসী কঁবর
সমাজের সন্ত পূজনীয় গহিরা গুরু মহারাজের হাত দিয়েই এই পবিত্র ভবনটির উদ্ঘাটন
করান এবং কঁবর সমাজকে প্রীতির সূত্রে আবদ্ধ করা হয়।
কল্যাণ আশ্রমের অখিল ভারতীয় সংগঠন সম্পাদক অতুল জী জোগের কথা অনুযায়ী কল্যাণ
আশ্রমের এই যাত্রাপথে অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও যেহেতু এই যাত্রা
জনকল্যাণকারী ছিল তাই প্রয়োজনীয় কার্যকর্তা আপনা থেকেই এসে যায় আর উত্তরোত্তর
কাজ বাড়তে থাকে। দক্ষিণ বিহারের (ঝাড়খণ্ড) লোহরদগাতে, উড়িস্যার বালেশঙ্করাতে, মধ্য প্রদেশের সেন্ধবাতে আশ্রমের নতুন
ছাত্রাবাস আরম্ভ হয়। তিনি আরও বলেন যে, ১৯৬৯ অব্দি বালাসাহেব জীর তপস্যার প্রত্যক্ষ পরিণাম
পরিলক্ষিত হয়, দেশের ১৪টি জেলার ৩৯টি
গ্রাম পর্যন্ত আশ্রমের কাজ পৌঁছে যায়। মধ্য প্রদেশে বনবাসী কল্যাণ পরিষদও গঠিত
হয়।
কাজ যেমন যেমন বাড়ছিল বালাসাহেব জীর প্রবাসও তেমনই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। প্রতিটি
কেন্দ্রে পৌঁছানো, কার্যকর্তাদের মনোবল
বৃদ্ধি করা আর তার সাথে নিয়মিত যোজনা বৈঠকাদি করা যেন দিনচর্যার অঙ্গ হয়ে
দাঁড়িয়েছিল। এরই মধ্যে জরুরীকালীন অবস্থা লাগু হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে বৃটিশ সরকারের
বিরোধিতা করে রামটেকে হওয়া বোমাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কারাগারে
যাওয়ার হাত থেকে তিনি বেঁচে গেলেও জরুরীকালীন অবস্থার জন্য কারাবাসে যেতে হয়।
১৯৭৫ সালে তাকে বন্দি করে প্রথমে রায়গড় তারপর রায়পুর কারাগারে রাখা হয়, যেখানে তিনি ১৯ মাস ছিলেন। তৎকালীন সরকারের দমন নীতির কারণে শুধুমাত্র কার্যকর্তাদের জেলবন্দি করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং তার সাথে সাথে আশ্রমের জমিও ‘ল্যাণ্ড সীলিং অ্যাক্ট’ দেখিয়ে বাজেয়াপ্ত করে আর প্রচুর ক্ষয় ক্ষতিও
করে। ছাত্রাবাস থেকে বাচ্চাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সোনাকে যেমন
আগুনে ফেললে তার উজ্জ্বলতা আরও বৃদ্ধি পায়, ঠিক তেমনই বালাসাহেব জী জেল থেকে বের হবার পর আরও জনপ্রিয়
হন।
জরুরীকালীন অবস্থার পর সঙ্ঘ থেকে রামভাঊ গোডবোলে জীর মত বেশ কয়েকজন প্রচারককে
কল্যাণ আশ্রমের কাজের বিস্তারের জন্য দেওয়া হয়। বালাসাহেব জী সারা দেশে ভ্রমণ
করে এই কাজকে দেশব্যাপী বিস্তার ঘটান। তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির
বাচ্চাদের দেশের সাংস্কৃতিক গৌরবময় দিকগুলোর সাথে পরিচিত করার সাথে সাথে
রাষ্ট্রভাব জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে ছাত্রাবাস নির্মাণের ক্রম শুরু হয়ে যায়।
আশ্রমের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব জীর ৭১তম জন্মদিন সারা দেশে পালন
করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। দেশ জুড়ে বালাসাহেব জীর অভিনন্দন কার্যক্রম করা হয়, তাতে ওনাকে যে নিধি উপহার স্বরূপ প্রদান করা
হয় তা দিয়ে পরবর্তীকালে আশ্রমের বিভিন্ন প্রকল্প চলতে থাকে।
বনবাসীদের প্রতিভাকে দেশের জনসমক্ষে তুলে ধরতে বালাসাহেব জী ‘একলব্য খেল প্রকল্প’ আরম্ভ করেন। এই প্রকল্প থেকেই দেশে অনেক নামকরা
তীরন্দাজ ও স্বর্ণপদক প্রাপ্ত খেলোয়াড় উঠে আসে। সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতা পরম পূজনীয়
ডাক্তার কেশব রাও বলিরাম হেডগেওয়ারের জন্ম শতাব্দী বর্ষে তার নিরলস প্রচেষ্টায়
ছত্তিসগড়ের নক্সাল প্রভাবিত অঞ্চলের বস্তরে ৩০,০০০ বনবাসীদের বিরাট বনবাসী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বালাসাহেব জী বলতেন কাজের বিস্তারের জন্য প্রকল্প আরম্ভ করা যতটা গুরুত্বপূর্ণ
তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নির্মাণ করা, আর তিনি সেই কাজটাই সারাজীবন করে গেছেন।
শরীর দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়ছিল তা সত্ত্বেও ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৩ অব্দি সারা
দেশে প্রত্যেকটি প্রকল্পে প্রবাস এবং কার্যকর্তাদের বৈঠক নিতে থাকেন। শেষ ২০ বছর
সারা দেশে প্রবাসের সময় ওনার সাথে এক বনবাসী যুবক সবসময়ই ছায়ার মত ঘুরতে থাকে।
বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের মহান কাজ বনবাসী হাতেই হোক এটাই ওনার আকাঙ্ক্ষা ছিল।
১১৯৯৩-এ ক্রমাগত অসুস্থতার কারণে কটকে অনুষ্ঠিত অখিল ভারতীয় সম্মেলনে জগদেব
রাম উরাঁও জীর হাতে কল্যাণ আশ্রমের দায়িত্বভার অর্পণ করে নিজে অন্তরালে চলে যান।
नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।