नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।
অর্ক সাঁতরা | আহমেদাবাদ | গুজরাট
এটা সত্যিই অকল্পনীয় মনে হয় যে আহমেদাবাদের একটি সরকারি স্কুল টানা পাঁচ বছর
ধরে দেশের আন্তর্জাতিক জুনিয়র ফুটবল দলকে চারজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় দিয়েছে।
যার মধ্যে অরুণা চৌহানকে ২০১৯ সালের সেরা খেলোয়াড়ও ঘোষণা করা হয়েছিল। একই সময়ে,
২০১২,২০১৬ এবং ২০১৯ সালে গুজরাট সরকার আয়োজিত গণিত ও বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে, এই স্কুলের শিশুরা রাজ্য স্তরে তাদের মেধার
প্রমাণ করে। নামকরা বেসরকারী বিদ্যালয়গুলিকে পিছনে ফেলে ১নং থালতেজ প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা বিজ্ঞান ও খেলাধুলার ক্ষেত্রে আহমেদাবাদে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
এখানে অধ্যয়নরত বিদ্যার্থীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস নির্মাণ কারী এবং তাদের
প্রতিটি পদক্ষেপের সঠিক পথ প্রদর্শক মহেশ ভাই ঠক্কর, এই বিদ্যালয়েই ২০০৬ সাল থেকে কর্মরত ও সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক,
যিনি রাজ্য সরকার থেকে সেরা শিক্ষকের পুরস্কার
পেয়েছেন। শুরু থেকেই সঙ্ঘের কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করে তিনি তাঁর ছাত্রদের মধ্যে
শিক্ষা, সংস্কার ও দেশপ্রেমের বীজ
বপন করেছিলেন এবং তাদেরকে সফল মানুষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত
করেন।
মহেশ ভাইয়ের সময়কালে মাটির রেফ্রিজারেটরের উন্নত প্রতিরূপ তৈরি করায় ২০০৩ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারা সম্মানিত হয়ে বোপল সরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্রেরা ইতিহাস তৈরিরে।
ন্যাচার পার্কে জ্ঞানের পাশাপাশি আনন্দ উপভোগ করছে প্রাথমিক বিদ্যালয় থলতেজের শিশুরাএকজন শিক্ষক হিসেবে জ্ঞানের গুরুত্ব অনুধাবন করে, তিনি ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে এবং
বাধ্যতামূলক শিক্ষার সরকারী নিয়মে স্কুলে যাওয়ার জন্য শ্রমিক এবং বস্তিবাসীদের
অনেক শিশুকে শুধু অনুপ্রাণিত করেননি, বরং তাদের অভিভাবকদেরও নেশা মুক্ত জীবন যাপনের জন্য নিয়মিত কাউন্সিলিং করেন।
২০০০ সালে পাটান জেলার দাতরওয়াডা গ্রামে শিক্ষক থাকাকালীন তিনি মাদক মুক্ত জাগরণ
অভিযানে পুরো দাতরওয়াডা গ্রামকে নেশা মুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ঈশ্বর প্রতিটি শিশুর মধ্যে আশ্চর্যজনক বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষমতা দিয়েছেন, প্রয়োজন একজন ভালো শিক্ষকের যিনি সেই প্রতিভাকে খোঁজ করে তাকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পারেন। ষষ্ঠ শ্রেণীতে আসা সঙ্গীতা প্রজাপতি মানসিক দুর্বলতার কারণে কোনো বিদ্যালয়েই ভর্তি হতে পারছিল না। সরকারি নিয়ম মেনেই মহেশ ভাই প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে সঙ্গীতাকে নিজের তত্ত্বাবধানে রাখেন, আর তার ছবি আঁকার রুচিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহ প্রদান করেন। অষ্টম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে হতে সঙ্গীতা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। সঙ্গীতার উদ্ভাবনী প্রকল্পটি আইআইএম তার সাইটে হোস্ট করেছে। দশম উত্তীর্ণ সঙ্গীতা অঙ্কন শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
আহমেদাবাদের সমস্ত প্রতিযোগিতার প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা
কীভাবে প্রতিভার সফল প্রদর্শন করতে পারে, এই চিন্তা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে, মহেশ ভাই তার বিদ্যালয়ের
৫ম থেকে ৮ম শ্রেণীর সমস্ত বাচ্চাদের জন্য ২০১২-র সেই গ্রামের সরকারি বিদ্যালয়ের
ছাত্র বর্তমানে একজন বৈজ্ঞানিক শ্রী কনক ভাই প্যাটেলের সহযোগিতায় ‘কমলা বা নিঃশুল্ক পাঠদান কেন্দ্র’ তৈরি করান।
সেবা বস্তিতে রেশন বিতরণ করতে আসা প্রয়াস ক্লাবের চারজন মহিলা মহেশ ভাইয়ের কাজে প্রভাবিত হয়ে এখানে বিনা পারিশ্রমিকে সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আজ এই কেন্দ্রে প্রয়াস ক্লাবের ৪৩জন মহিলা বিজ্ঞান, গণিত, হিন্দী, ইংরেজি, কম্পিউটার ও অঙ্কন প্রভৃতি বিষয় নিঃশুল্কে পড়ান, তার সাথে তাদের নিজের সন্তানের মতো প্রতিটি প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ব্যবস্থা করেন। কোনো ছুটি ছাড়াই সারা বছর চলা এই পাঠদান কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিশুদের বিকাশের জন্য নিবেদিত।
পাঠ্য বিষয়ের সাথে বাস্তবিক জ্ঞানের জন্য, এই সব শিশুদেরকে সুন্দরবন, সায়েন্স সিটি, সেরেনিটি বোটানিক্যাল গার্ডেন ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় বছরে কয়েকবার
বিনামূল্যে ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয়। মহেশ ভাই বলেন- "যেমন একজন মুচির চোখ
সবসময় জুতোর দিকে থাকে, তেমনি একজন শিক্ষকেরও তার
ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিভার দিকে নজর থাকা উচিত।"
২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫-১৬ জন বিদ্যার্থী বিজ্ঞান প্রকল্পের ভিত্তিতে
ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত হয়। যারা সপ্তাহে একদিন তাদের কুঁড়েঘর থেকে বেরিয়ে এসে
সম্ভ্রান্ত পরিবারের শিশুদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পূর্ণ সম্মানের সাথে বিক্রম
সারাভাই বিজ্ঞান কেন্দ্রের ল্যাবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। প্রতিটি বিদ্যার্থী
তার শ্রেণীর প্রায় ৪০জন শিশুর কাছে শিক্ষক হয়ে তার জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেয়।
বিজ্ঞানী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সাথে যুক্ত শিশুদের সমস্ত খরচ বহন করে। মহেশ ভাইয়ের চিন্তাধারা হল যে শিক্ষা শুধুমাত্র সরকার নয়, সমাজের উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিৎ, এই ভাবনা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২৭টি এনজিও-র প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পাওয়া যায়। তাদের মাধ্যমে এইসব শিশুদের সব চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
২০১৬ সালে ৮ম শ্রেণী উত্তীর্ণ মেয়েদের জুনিয়র দল আন্তর্জাতিক স্তরে তুমুল
উন্মাদনা সৃষ্টি করে, আজ তারা বিশ্ব ভারতী
বিদ্যালয়, থলতেজের গর্ব। বর্তমানে
একটি সুইডিশ কোম্পানি SKF এর সহযোগিতা পেয়ে,
এই শিশুদের আত্মবিশ্বাস গগনচুম্বি। অপরদিকে
বিজ্ঞান, কম্পিউটার এবং যোগ ক্লাসে
জ্ঞান অর্জনকারী এবং রাজ্য স্তরে হিন্দি এবং অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী
শিশুরা প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার যথার্থ প্রমাণ রেখেছে।
দারিদ্র্য যাতে শিশুদের শিক্ষার পথে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তা নিশ্চিত করার
জন্য, ৮ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ
প্রত্যেক শিশুকে ট্র্যাক করে শূন্য স্কুলছুট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হয়েছে।
ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা মহেশ ভাইয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের মধ্যে থাকে।
কোভিডের কারণে, শিশুরা দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দেওয়ার পরে একটি
বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। কোন পথে অগ্রসর হবে? আর নিজের পছন্দের বিষয়ের জন্য অর্থ কীভাবে আসবে? তারা শিক্ষক, প্রশাসনিক আধিকারিক, প্রকৌশলী হতে চেয়েছিল। গত জুনে, এই শিশুদের একত্রিত করে তাদের একজন মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শ
দাতার সহায়তায় বৌদ্ধিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতার পরীক্ষা করা হয়। কয়েক দফা বৈঠকের
মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর, শুধুমাত্র তাদের দিশা
নির্দেশ করা হয়নি, ১৬ জন মেয়েকে আরও
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং ভর্তির জন্য আর্থিক সহায়তাও দেওয়া
হয়েছিল।
একজন শিক্ষকের বেতন বেশি নয়, কিন্তু যদি তার
চিন্তাভাবনা, তার প্রচেষ্টা এবং তার
দৃষ্টিভঙ্গি দেশের ভবিষ্যৎ অর্থাৎ শিশুদের সাথে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত থাকে তবে শুধু সমাজের নয়, সমগ্র দেশের চিত্র পাল্টে যেতে পারে, এটা প্রমাণ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক
সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক মহেশ ভাই।
नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।