नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।
বিজয়লক্ষ্মী সিংহ | মহারাষ্ট্র
আজ সমগ্র গ্রামে সুগন্ধিত সুবাসিত আতর ছড়ানো হয়েছিল। গ্রামের আবহাওয়ায় এক অন্য রকম স্ফুর্তি ছিল। ঘরে ঘরে খুব যত্নসহকারে সাফ সাফাই করা হয়েছিল। যেন কোন উৎসব এসেছে। সময়ের পাতা পিছনে উল্টালে আনুমানিক অন্য সাধারণ দিনে এর একদম বিপরীত এই গ্রামে প্রায় প্রায় সব বাড়িতেই কাঁচা মদ বানানো হতো, যার কারণে এখানকার পরিবেশে অদ্ভুত সোঁতা দূর্গন্ধ মিশে থাকত। কিন্তু আজ গ্রামবাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। ঝাঁসি নগরের এস.এস.পী দেবকুমার এন্টোনি শহর থেকে প্রায় 12 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ছোট্ট একটি গ্রামে আসার কথা ছিল। নিজের গম্ভীর এবং সৎ চরিত্রের জন্য বিখ্যাত এন্টোনি আজ এখানে নাতো মদ বিক্রেতা দের ধরতে এসেছিল না কোন অপরাধীকে জেলে পুরতে। তিনি তো দাতারের সেই সমস্ত যুবকদের সম্মানিত করতে এসেছিল যারা মদ খাওয়া আর বানানো ছেড়ে দিয়েছিল। বাস্তবে এটা কোন চমৎকারের থেকে কম ছিল না -যেই কবুতরা সমাজের লোকেরা নিজেদের অপরাধী ছবি এবং বেআইনি মদের ব্যবসার জন্য কুখ্যাত ছিল, আজ সেই সমাজের কিছু যুবকের সম্মান দেওয়া হচ্ছিল যারা মদ খাওয়া ও মদের ব্যবসা ছেড়েছিল।
এই বিস্ময়কর পরিবর্তন সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকদের দ্বারা সঞ্চালিত সেবা সমর্পন সমিতির কয়েক বছরের নিরন্তর পরিশ্রমের ফল ছিল। সমিতির দ্বারা 10 বছর ধরে সঞ্চালিত ওয়ান টিচার স্কুলটি না শুধু কবুতরা সমাজের বাচ্চাদের জন্য পড়াশুনার অভ্যাস বিকশিত করে তাছাড়া তাদের মাতা পিতা কেও সমাজের মুখ্য ধারার ভাগিদারি করেন।
রাজকুমার দ্রেদী আজো 10 বছর আগে মে 2007, এর সেই দিন ভোলে নি, যখন তিনি প্রথম বার দাতার গেছিলেন। তখন কবুতরা সমাজের কোন ব্যাক্তি উনাকে নিজেদের ডেরায়/আড্ডখানায় নিয়ে যেতে চাইতো না। তিনি সেই বাচ্চাদের পড়াতে চাইতেন, কিন্তু তাদের মা বাবা এর জন্য কোনভাবেই তৈরী ছিলেন না। অনেক প্রচেষ্টার পর অন্ততঃ উনার এই শর্তে রাজী হলেন যে রাজকুমার জী পড়াশুনা ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে মতলব রাখবেন না। যেখানকার মানুষ কজ্জা (কবুতরা সমাজের থেকে নীচু শ্রেণীর) লোকেদের উপর ভরসা করত না। এছাড়া কবুতরা সমাজের অপরাধী ইতিহাস ও তাদের অন্য সমাজ থেকে আলাদা করে দিয়েছিল। ঝাঁসি ও তার আশেপাশের এলাকার লোকেরা কবুতরদের ভয় পেতো, এমন ধারণা ছিল যে সমস্ত ক্ষেত-খামার কবুতরদের এলাকার সীমান্তে আছে সেখানে লুটপাট ও চুড়ি-চামারির ঘটনা বেশি ঘটে। শিক্ষা প্রাপ্তির রাস্তায় প্রায়শই দরিদ্রতা সবচেয়ে বড় বাধা হয়। কিন্তু এখানে না দারিদ্রতা ছিল, না ছিল ক্ষুদ্ধা, ততসত্তেও এখান কার ছেলেরা পড়তে যেত না। এখানকার সমস্যা অন্য কিছু ছিল। কিন্তু যেমনি শিক্ষার সূর্যের উদয় হোলো, পিছিয়ে পড়া সামাজিক চিন্তা ভাবনার অন্ধকার মুখ লুকিয়ে পালাতে লাগল এবং গ্রামের ছেলেবেলা স্বর্নিম ভবিষ্যতের দিকে এগোতে থাকল। এই ক্ষণ বছরে দাতারে সবকিছু বদলে গেছিল। বি. এস.সি দ্বিতীয় বছরে পড়া আশিষ মনোরিয়া এখন নিজের নামের সাথে কবুতরা উপনাম লাগাতে চাইতো। তার পরিবার কবুতরা সমাজের সেই বর্গ থেকে যারা না শুধু মদ খাওয়া তাছাড়া বিক্রি ও বন্ধ করে দিয়েছিল। গ্রামেই হার্ডওয়ারের দোকান চালানো অনিল মনোরিয়া বলতেন আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে কখনও আমরা এই ব্যবসা ছাড়তে পারব।
ইতিহাসের উপর নজর দিলে দেখা যাবে কবুতরারা খুব খারাপ দিন দেখেছিল। একটা সময় ছিল যখন উনাকে দেখা মাত্রই লোক তাকে মারত। কোন ভান্ডারাতেও উনাকে সবার সাথে বসতে দেওয়া হতো না। পেট ভরানোর জন্য চুড়ি বা ডাকাতি ছাড়া এই লোকেদের কাছে অন্য উপায় ছিল না। পরে তৎকালীন গৃহরাজ্য মন্ত্রী বলবন্ত নাগেশ দাতারে ইনাদের সংগঠিত করে ফেব্রুয়ারী ১৯৫৮ তে দাতার গ্রাম বসিয়েছিল। কিন্তু ৪০ বছর পরেও কবুতরা সমাজের লোক মুখ্যধারার অংশিদার হতে পারে নি। সাল ২০০৫ এ সঙ্ঘের মহানগর বৈঠকে প্রথমবার কবুতরা সমাজের সামাজিক স্থিতি নিয়ে চর্চা হয়, যার পর স্বয়মসেবকরা এই সমাজের মধ্যে গিয়ে কাজ করার নির্ণয় করলেন। একল বিদ্যালয় এই সংকল্পের প্রথম চরণ ছিল। এই বিদ্যালয় এখন সেবা সমর্পণ সমিতির মাধ্যমে চলত। আজ দাতার থেকে ৪৫০ বাচ্চাছেলে ঝাঁসির বিভিন্ন স্কুলে পড়তে যেত। এরা সেই ছেলেরা যারা পূর্বে স্কুল যাওয়ার বদলে ঘরে থেকে মদের প্যাকেজিং এ সাহায্য করত ও মা বাবার থেকে লুকিয়ে মদ ও পান করে নিত।পশ্চিমী উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্র সেবাপ্রমুখ নওলকিশোর জীর মতে মেয়েদের পড়ানোর জন্য কোনভাবেই তৈরী ছিল না। ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী আয়ুতে তাদের বিয়ে করিয়ে দিত। কিন্তু এখন এখানকার ৮০ বাচ্চামেয়েরা ঝাঁসি পড়তে যেত। এমনকি এখন কবুতরা রা কজ্জাদের (তাদের সমাজের নীচু শ্রেণীর) জন্যও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ছিল। সমিতি যখন ঝাঁসি সিপাহী বাজার বস্তীর ( এখানেও সমিতির বালক সংস্কার কেন্দ্র চলে) ২ গরীব মেয়ের বিয়ে দিল, তো দাতার থেকেই এই মেয়দের বিয়ের জন্য সমস্ত ধন সম্পদ দিয়েছিল। আসুন এবার কথা বলি, এস.এস.পি দেবকুমার জী র সম্মান সমারোহ এর পর কবুতরা সমাজে আসা পরিবর্তনকে দেখে এই সমাজের প্রতি উনার সম্পূর্ণ ধারণা বদলে গেল। এখানে আসার পূর্বে এটা মানতে রাজি হননি, যে কবুতরার লোকেরা অপরাধের রাস্তা কখনও ছাড়তে পারবেন! কিন্তু কার্যক্রমের পর না শুধু তার দৃষ্টিভঙ্গির বদল হল তদুপরি উনি নিজেই এখানকার কিছু যুবকদের পুলিশে ভর্তি হওয়ার প্রেরণা দিলেন।
नियमित अपडेट के लिए सब्सक्राईब करें।