सब्‍सक्राईब करें

क्या आप ईमेल पर नियमित कहानियां प्राप्त करना चाहेंगे?

नियमित अपडेट के लिए सब्‍सक्राईब करें।

বহু কাজের আধার এক ধাম, পণ্ডিত দীনদয়াল ধাম, মথুরা

সোমকান্ত | মথুরা, | উত্তর প্রদেশ

parivartan-img

পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্মৃতি দ্বার

দেবভূমি মথুরার ফরহ নামক অঞ্চলে কোন এক সময় সেখানকার মহিলা, বাচ্চা বা বড় মানুষ কলসি-বালতি কাঁধে, মাথাতে কিম্বা হাতে নিয়ে মাইল খানেক পথ অতিক্রম করে পানীয় জল নিজেদের গ্রামে বয়ে আনত। চারিদিকেই যে জল পাওয়া যেত তা খুব লবনাক্ত, তাই মিষ্টি জলের এক ফোঁটাও এতটা দামি ছিল যে, তার জন্য বহুবার জলকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া-ঝাটি লেগে থাকত। চাষাবাদই সেখানকার মূল জীবিকা হলেও তা তো পুরোটাই জলের উপর নির্ভরশীল। কোনরকম উপার্জন করে সংসার চালালেও ভবিষ্য প্রজন্মের উন্নতির জন্য কিছু করা তাদের সাধ্যের বাইরে ছিল। বহু পরিবার সেই কারণে রোজগারের জন্য গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।

বাচ্চাদের পড়াশোনার জন্যও উপযুক্ত ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু যখন কোন যোগীপুরুষ কোন স্থানে জন্মগ্রহণ করেন, তার সাধনার প্রভাব বহুদিন সেখানকার মানুষের উপর থাকে। সঙ্ঘের প্রমুখ প্রচারক তথা একাত্ম মানব দর্শনের প্রণেতা পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মস্থান মথুরা থেকে ২২কিলোমিটার দূরে ফরহ অঞ্চলের নগলা চন্দ্রভান গ্রাম বর্তমানে দীনদয়াল ধাম নামেই পরিচিত। ১৯৮২ সালে পণ্ডিত দীনদয়াল জীর পৈতৃক বাসভবনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বরিষ্ঠ অধিকারী মাননীয় ভাঊরাও দেওরস, শ্রদ্ধেয় অটল বিহারী বাজপেয়ী, শ্রদ্ধেয় ওম প্রকাশ জী প্রমুখ অধিকারী গণ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জন্মভূমি স্মারক সমিতি গঠন করে সেখানকার উন্নয়নের দুয়ার খুলে দেন। দীনদয়াল জীর স্মারক রূপে সুন্দর স্মৃতি ভবন তৈরি করা হয়, যেটি দীনদয়াল ধাম নামেই পরিচিত।


দীনদয়াল ধাম আয়ুর্বেদিক ঔষধ নির্মাণ কেন্দ্রে কর্মরত মহিলাগণ।

বাড়ির একটি রান্নাঘরে তৈরি করা খাবার পরিবারের সমস্ত সদস্যদের পেট ভরায়, ঠিক তেমনই স্মারক সমিতি সম্পূর্ণ ফরহ বিকাশ খণ্ডের ৫৬টি গ্রামের মৌলিক প্রয়োজনীয়তার সাথে সর্বাঙ্গীন বিকাশের জন্য বিগত কয়েক বছর ধরেই কাজ করে চলেছে।

বাল্যকাল থেকে এখানকার শাখার স্বয়ংসেবক, পরবর্তীকালে সঙ্ঘের প্রচারক তথা সমিতির নির্দেশক শ্রদ্ধেয় সোনপাল জী বলেন, পানীয় জলের অভাবের কারণে এখানকার মানুষজনকে বহুদূর থেকে জল বয়ে আনতে হত। এর জন্য ১৯৯২-এ সবার আগে মিষ্টি পানীয় জলের ১৫টি নল বসানো হয়। আর আজকের দিনে ফরহতে পানীয় জলের বড় ট্যাঙ্কি আছে, যা থেকে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে যায়। জলের সমস্যা দূর হতেই চাষ বাসের নতুন বিকল্প উঠে আসে। বর্তমানে দীনদয়াল ধামে ৫০০০টি গাছ লাগানো হয়েছে। একটা মনোরম আমলকির বাগানও রয়েছে। বিভিন্ন ভাবে কৃষকদের প্রাকৃতিক এবং জৈবিক কৃষির বিষয়ে উসাহ প্রদান করা হয়। সীবেজ ট্রিটমেণ্ট প্ল্যাণ্টের মাধ্যমে দৈনিক প্রায় ৭৫,০০০ লিটার অশুদ্ধ জল শোধন করে সেচের কাজে ব্যবহার হচ্ছে। পুনর্নির্মাণ ও সৌন্দর্যায়ণের ফলে দীনদয়াল ধাম উত্তর প্রদেশের একটি মনোরম পর্যটন কেন্দ্র।


দীনদয়াল ধাম থেকে প্রায় ৫,০০০ জন বোনেরা সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বরোজগার লাভ

এখানকার বাচ্চারা এখন আর সরকারী বিদ্যালয়ের উপর নির্ভরশীল নয়। দীনদয়াল উপাধ্যায় সরস্বতী বিদ্যা মন্দিরের দ্বারা দুইটি বিদ্যালয় চলছে, যাতে হাজার জনের বেশি ছাত্র পড়াশোনা করছে। এছাড়াও প্রায় ২৫টি গ্রামে নিঃশুল্ক এক শিক্ষক এক বিদ্যালয় কর্মসূচী অনুযায়ী পড়ানো চলছে। এই একল বিদ্যালয় বাচ্চাদের শিক্ষিত ও সংস্কারিত করার সাথে সাথেই তাদের জীবনের সঠিক দিশা নির্দেশের কাজও করছে। ফরহ বিকাশ খণ্ডের ৮টি ন্যায় পঞ্চায়েতে ৬টি সরস্বতী শিক্ষা মন্দির রয়েছে, যাতে ৩৩টি গ্রাম থেকে ১,৩৮৩জন বাচ্চা পড়তে আসে।

সমিতির মাধ্যমে সমস্ত অঞ্চলে প্রকল্প চালু করে সার্বিক উন্নয়নের ভিত তৈরি করেছে। কামধেনু খাদ্য এবং গ্রামোদ্যোগ ফার্মেসি মন্ত্রী শ্রী হেমেন্দ্র জী বলেন যে, ছোট-খাটো অসুখ হোক বা বড় গুরুতর অসুখ হলে আগে কয়েক মাইল দূরে মথুরার হাসপাতালে রোগীর চিকিসা করাতে হত। এই বিষয়টি চিন্তা করে সেবা কেন্দ্রের পরিসরেই একটি নিঃশুল্ক আয়ুর্বেদিক চিকিসালয় চালানো হচ্ছে, যেখানে প্রতি বছর আনুমানিক ৩০,০০০ রোগীর চিকিসা হচ্ছে। এখানে নিঃশুল্ক চক্ষু অস্ত্রোপচার, দিব্যাঙ্গ সহায়তা, দাঁত পরীক্ষা এবং অন্যান্য সব ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়।


পরিসরের মধ্যে একটি কামধেনু গোশালাও রয়েছে। তাতে পঞ্চগব্য দ্বারা আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরি হয়। এই গোশালাটি গ্রামের মহিলাদের জন্য স্বাবলম্বন কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত ৪০জন বোন ঔষধ নির্মাণের বহুবিধ প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এই মহিলারা এখান থেকে প্রতি মাসে ৪,৫০০ টাকা করে উপার্জন করছে।

দুইটি বাচ্চার মা অনীতা স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারের কাছে বোঝা হিসেবে না থেকে সেলাইয়ের কাজ করে স্বনির্ভর হয়ে জীবন যাপন করছে। আর অন্য দিকে রমার শাশুড়ি এই ধাম থেকে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে বহু বছর কাজ করেছেন। রমা বিয়ে হবার পর শ্বশুরবাড়ি এলে তাকেও এখান থেকে সেলাই শিখিয়ে স্বনির্ভর হয়ে জীবন যাপন করতে শিখিয়েছে। সেলাই প্রশিক্ষণ ও বস্ত্র উদ্যোগ কেন্দ্রের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫,০০০ বোনেরা নিঃশুল্ক সেলাই শিখে অর্থ উপার্জন শুরু করেছে। বর্তমানে ৩৫জন বোন এখানে কর্মরত, যারা প্রতি মাসে ৫,০০০টাকা উপার্জন করছে। ৮টি গ্রাম থেকে মহিলারা আসে, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বোনদের বিয়ের সময় দীনদয়াল ধাম পরিবারের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিনও উপহার স্বরূপ দেওয়া হয়।

সমিতির সম্পাদক নিতিন বহল জী বলেন, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম দিবস ও প্রয়াণ দিবসে প্রদর্শনী, মেলা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যাতে লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। সমিতির মধ্যে নির্মিত সামুদায়িক (কমিউনিটি) ভবন, রাধা কৃষ্ণ মন্দির, সঙ্গ ভবন এবং গবেষণা গ্রন্থাগার আশেপাশের সমস্ত গ্রামকে এক করে রেখেছে।

প্রকৃতির সাথে পূর্ণ সামঞ্জস্য বজায় রেখেই মানুষের উন্নয়ন, এই একাত্ম মানব দর্শন পণ্ডিত দীনদয়াল জীর চিন্তাভাবনা রূপে পণ্ডিত দীনদয়াল জন্ম স্মারক সমিতি ভবন, ব্রজতে কেবল সচল নয় বরং দেবভূমির গর্ব।

সম্পর্ক:শ্রী রোহিত জী

চলভাষ:— +919690878956

378 Views
अगली कहानी