सब्‍सक्राईब करें

क्या आप ईमेल पर नियमित कहानियां प्राप्त करना चाहेंगे?

नियमित अपडेट के लिए सब्‍सक्राईब करें।

শত শত গ্রামে বইল উন্নতির গঙ্গা,সুযশ চেরিটেবল ট্রাস্ট দারিদ্রতার লড়াইয়ে বিজয়ী হল

বিজয়লক্ষ্মী সিংহ | মহারাষ্ট্র

parivartan-img

ঢগেবাডি-মহারাষ্ট্রের একটি ছোট্ট গ্রামআপণাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই ঢগেবাডি যাননি হয়ত, হয়ত এটাও সম্ভব যে এর নাম পর্যন্ত শোনেন নিকিন্তু ২৩ বছর আগে এক দম্পতি সেখানে যান এবং নিজেদের সংকল্প শক্তি দিয়ে এই গুমনামি গ্রামের ছবিটাই পরিবর্তন করে দেনসেই ১৯৮৫ সালের কথা মহারাষ্ট্রের আকোলা নগর, জিলা - আহমদ নগর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ৫৫ ঘরের ছোট্ট গ্রামে সমস্ত জমি বন্ধ্যা ছিল, জলের জন্য কেবল মাত্র একটি ছোট পুকুর ছিল তাও সেটা কিলোমিটার দূরে, তখন মোহনরাও ঘোসাস জী এবং উনার ধর্মপত্নি স্মিতা ঘোসাস জী এই গ্রামকে উনাদের কর্মভূমি মনে করলেনঢগেবাডি তে সেই সময় চাষের জন্য কিছুই ছিল না, না ছিল রোজগারের অন্য উপায়


বিন্দু এটাই ছিল যে ছেলেরা মাস রোজগারের জন্য বাইরে থাকত, গ্রামে বয়ষ্করা, বাচ্চা, মহিলারা পিছনে থেকে যেতেনকিন্তু আর এখানে চারিদিকে সবুজায়ন হচ্ছেএকসময় জলসঙ্কটে থাকা গ্রামে আজ ২৬ টি কু্ঁয়ো, ৩৫ চেক ড্যাম্প আছে, যেখানকার মানুষ কখনও বাঁধাকপি, টমেটো দেখে নি আজ সেখানে প্রতি সপ্তাহে বাঁধাকপি এবং টমেটো থেক লদা টোপি শহর বিক্রি ওয়ার জন্য যায়এই চমৎকার আসলে সুযশ চেরিটেবল ট্রাস্ট দ্বারা বিকশিত উন্নত কৃষি টেকনোলজির কেরামতি, যেটা হাজারো কৃষকদের ভাগ্য বদলে দিয়েছেঘোসাস দম্পতি ট্রাস্টের মাধ্যমে শুরুটা বনবাসী ছাত্রদের উন্নত কৃষিকাজ পদ্ধতির শিক্ষার মাধ্যমে করেনযখন এই ছাত্রদের পরিবার এক একর বন্ধ্যা জমি থেকে ৪০০০০ কামাতে লাগল, তখন এই জৈবকৃষি পদ্ধতি সম্পন্ন এই মডেল বাকি আসেপাসের গ্রামেও প্রয়োগ করলমেলঘাট গ্রামের বাপু কালে এবং শ্যাম বোলসরে নিজের জমিতে প্রতি একর ১০ কুইন্টাল সোয়াবিন আর   কুইন্টাল জোয়ারের মিশ্র কৃষিকাজ করে ৪৭০০০ টাকার গাছ লাগিয়েছিলেনবাপু কালে বলেন যে আজ তার জমি উর্বর হয়ে গেছেবিবা গ্রামের মোতিলাল বাওনে একটি চেক ড্যাম্প নির্মান করান এবং চারজন কৃষক সামুহিক রুপে  জলসেচ হেতু প্রয়োগ করেন এবং রবীর প্রতি একর ১৮০০০ মূল্যের বাম্পর ফসল পেলেনবিহীর গ্রামের দাদা রাও খাঙ্গারে বলেন নতুন রুপে চাষ করে উনি একর প্রতি ১০. কুইন্টাল কাপাশের রেকর্ড উৎপাদন করেনআর ট্রাস্টের প্রচেষ্টায় মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান এবং উড়িষ্যা তে ২৬০০ গ্রামের ১লক্ষ লোক দারিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছেনইলেক্ট্রিকেলের সাথে ম্যাকানিকল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি করা মোহনরাও জী সেই সময় স্বপ্নেও ভাবেনি যে, সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক রুপে আকোলার বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের পালকের দায়িত্ব জীবনের দিশা বদলে দেবেকয়েক বছর পুণে নগরের সঙ্ঘচালক ছিলেন মোহনরাও বনবাসী ছাত্রদের আত্মনির্ভরশীল তৈরী করার ভাবনা ধীরে ধীরে গ্রামের বিকাশের ভিত স্থাপনা করেনট্রাস্টের কার্যকর্তা কৃষকদের উন্নত বীজ জৈবিক কৃষিকাজের ট্রেনিং সাথে গোমুত্র থেকে সার তৈরীর প্রক্রিয়াও সেখানো হতএই পুরো প্রোজেক্টের অন্তর্গত  ট্রাস্ট দ্বারা ছোট ছোট চেক ড্যাম্প তৈরী করে, কুয়োঁ করে পরম্পরাগত জল সংরক্ষণ এর মাধ্যমে গ্রামে জল সংগ্রহ করা হতকিন্তু এসব এত সহজ ছিল না- নাসিকের উম্বরপাড়া গ্রামের বাকয়া হী লে - প্রথমবার গ্রামবাসীরা ট্রাস্টের কার্যকর্তাদের বসতে দিতে পর্যন্ত বারণ করে দিয়েছিলগ্রামবাসীদের কথা ছিল যদি জল নিয়ে আসতে পারেন তবেই আপণাদের কথা শুনবআজ এই গ্রামের একনাথ গায়কওয়ার একর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করে বছরে ,৬০,০০০ টাকা কামানোর রেকর্ড তৈরী করেন, তো উনার ইন্টারভিউ নিতে টিভি চ্যানেল অবধি পৌঁছে যায়কয়েক বছর ধরে বীজ কিনতে থেকে শুরু করে কুয়োঁ খোঁড়া অবধি ট্রাস্ট থেকে কৃষকদের আর্থিক সাহায্য দিতযেটা তারা ফসল বিক্রির টাকা দিয়ে মিটিয়ে দিতএবার গ্রামে গ্রামে এই কাজ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দ্বারা হতে থাকলকৃষক নিজের বাঁচত থেকে আত্মনির্ভর হতে থাকলপ্রথম নানাজী দেশমুখ পুরষ্কার দিয়ে সম্মানিত পুণের সুযশ চেরিটেবল ট্রাস্ট গো- আধারিত উন্নত কৃষিকাজের নতুন মডেল বিকশিত করে লক্ষ বনবাসী পরিবারকে আত্মনির্ভর করে তাদের জীবন সমৃদ্ধি করে নতুন রঙে রাঙিয়ে তোলার কাজ করছে

514 Views
अगली कहानी